ইউএন নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সংস্থাটির নতুন প্রেসিডেন্ট আকরাম বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে ইকোসকের অগ্রাধিকারের এক রূপরেখা তুলে ধরেন।
সেখানে আকরাম বলেন, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে ইকোসকের প্রধান আদেশ হলো বৃহত্তর স্বাধীনতার মধ্যে দিয়ে জীবনমানের উন্নতি সাধন করা।
এ আদেশের বাস্তবায়ন বর্তমান সময়ের মতো র্পূবে কখনও এতো চ্যালেঞ্জিং ছিল না। মহামারির কারণে সৃষ্ট বিশ্ব মন্দার কারণে ২০৩০ সালের মধ্যে সকলের উন্নত ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য এসডিজির ১৭টি লক্ষ্যমাত্রার অর্জনকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
বৈশ্বিক উষ্ণতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি দেশগুলো তাদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ঐক্যমতের মধ্যে দিয়ে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল তা পূরণ না করলে পৃথিবী সকল জীবের জন্য বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন।
চলমান করোনা, এসডিজি এবং জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য একযোগে এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, বিভিন্ন সময়ে দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলো এখনই বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ও ইকোসক
২০১৯ সালে ২০২০-২০২২ মেয়াদের নির্বাচনে জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসক) সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল বাংলাদেশ। সংস্থাটির সদস্যদের ১৯১ ভোটের মধ্যে ১৮১ ভোট পেয়ে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে বাংলাদেশ এ পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। ওই নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন বিজয়ী হয়েছে।
জাতিসংঘের ছয়টি অংগপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক প্লাটফর্ম এবং বৈশ্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ফোরাম হলো ইকোসক।